হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, খোররামআবাদ শহরে লোরেস্তান প্রদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত হুসাইনী সেবকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন: আরবাঈনের বিশাল জনগণভিত্তিক আন্দোলন হুসাইনী বিপ্লবের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, আরবাঈন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কাঁটা অশ্রু, প্রেম, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের ফল। বিশাল আরবাঈন পায়ে হেঁটে যাত্রার শিকড় আশুরার রক্তে নিহিত।

তিনি আরও বলেন, আরবাঈন শুধু একটি ধর্মীয় জিয়ারত নয়, বরং এটি একটি গভীর মানবিক ও সামাজিক পরিবর্তন।

পানাহিয়ান বলেন, যদি কেউ আরবাঈনের মাহাত্ম্য বুঝতে না পারে, তবে সে আশুরার মহত্ত্বও উপলব্ধি করতে পারবে না। আরবাঈনের প্রতি উদাসীনতা নিজেকে এবং সমাজকে অন্যায় করার শামিল।

তিনি নিজের আরবাঈন যাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন: আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে বিচ্ছিন্ন হৃদয়গুলো এই পথে একত্রিত হয়েছে। এমনকি এক ইরান-বিরোধী মনোভাবাপন্ন ইরাকি তরুণ, ইরানি জায়েরদের আচরণ দেখে বদলে গেছে – এটাই আরবাঈনের অলৌকিকতা।

ইরানের সংসদ সদস্য আব্বাস গোদারজি, বোরুজার্দ ও আশতেরিনান থেকে, বলেন: আরবাঈন পদযাত্রা ইসলামী সভ্যতা প্রতিষ্ঠা এবং ইমাম মাহদী (আ.)-এর আগমনের ভূমিকা তৈরিতে মৌলিক ভূমিকা রাখে। আরবাঈন হল বিশ্বব্যাপী ইমাম হুসাইন (আ.)-কে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি মঞ্চ।
ইমাম মাহদী (আ.) বলেছেন: 'আমি হুসাইনের সন্তান' — এই উপলব্ধি তখনই সম্ভব, যখন হৃদয় ও চিন্তা থেকে গাফিলতা দূর হয়। আরবাঈনের পদযাত্রা এই জাগরণের পথ।

তিনি আরও বলেন: আরবাঈন কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং এটি একটি শিক্ষাক্ষেত্র এবং মাহদাভী (ইমাম মাহদী কেন্দ্রীক) মূল্যবোধের প্রতিফলন।
সরকারি কোম্পানিগুলোর আয় থেকে আরবাঈনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে একটি অংশ বরাদ্দ করার প্রচেষ্টা হাজার হাজার সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের সমান।

মেহরদাদ লাক, ‘জনগণের আরবাঈন কর্মীদের সমন্বয় পরিষদ’-এর সম্পাদক, বলেন: আরবাঈনের এই বিশাল জনআন্দোলন একটি সাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের বাঁকবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়।