হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওযা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর মহাপ্রয়াণের ৩৬তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে, তাঁর চিন্তাধারা ও দিকনির্দেশনাগুলোর পুনরালোচনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে ইমাম খোমেনির প্রধান লক্ষ্য ও আদর্শগুলোকে পুনরায় তুলে ধরা প্রয়োজন।
ইমামের দৃষ্টিতে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের রূপ ও বিষয়বস্তু
হাওযাভিত্তিক লেখক হুজ্জতুল ইসলাম আলী ইফতেখারী বলেন, ইসলামি বিপ্লবের উচ্চতর আদর্শগুলোকে অনুসরণ করা জরুরি, যা ইমাম ও তার উত্তরসূরীদের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইমামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দিকনির্দেশনামূলক ও শিক্ষণীয়। এক স্থানে ইমাম বলেন: “ইসলামি শাসনব্যবস্থা হলো এমন একটি সরকার যা ইসলামি বিধানসমূহের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই শাসনে পূর্ণ স্বাধীনতা বজায় থাকে। আমরা ইসলামি প্রজাতন্ত্র চাই—‘প্রজাতন্ত্র’ হলো শাসনব্যবস্থার কাঠামো, আর ‘ইসলামি’ হলো এর বিষয়বস্তু, অর্থাৎ আল্লাহর বিধান।”
এরপর তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা নির্ভর করে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন এবং নিপীড়িতদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ওপর। তিনি রাসুল (সা.) ও আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.)-এর জীবনচর্যার অনুসরণে বর্তমান যুগে এগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই গবেষক আরও বলেন, ইমাম তাঁর নির্দেশনায় জনগণ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষভাবে যে বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন তা হলো—ইসলামি প্রজাতন্ত্রের লক্ষ্য যেন আল্লাহর আদেশের আওতায় জনসন্তুষ্টি অর্জন হয়। এজন্যই তিনি স্পষ্টভাবে বলেন: “জনগণের কষ্ট বাড়ানো এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা হারাম; এমনটি করলে আল্লাহর গজব ডেকে আসতে পারে...”
তিনি আরও বলেন, ইমাম খোমেনির জীবনচর্যা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তিনি একদিকে যেমন ইসলামি ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন, তেমনি জনগণের জীবনযাত্রার বাস্তব সমস্যাগুলো থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেননি। বরং, তিনি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইসলামি অর্থনীতির প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন এবং ইসলামী শাসনে এর কিছু বৈশিষ্ট্যের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন—যার চূড়ান্ত ফলাফল হলো সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিশেষত দরিদ্রদের জন্য।
আপনার কমেন্ট