শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ - ২০:১৮
বিভেদ সৃষ্টিকারী যেকোনো বক্তব্য বা আচরণই ইহুদিবাদী ফ্রন্টকে শক্তিশালী করে

ইরানের মসলা‌হাত পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক আমুলি লারিজানি সতর্ক করে বলেছেন, ইসলামি সমাজে মতভেদ বা বিভেদমূলক আচরণ—তা ইচ্ছাকৃত হোক বা অজান্তে—শত্রুর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে। তাঁর মতে, এই সময়ের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো জাতীয় ঐক্য রক্ষা এবং ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাংগঠনিক আগ্রাসনের মোকাবেলা করা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: সামাজিক মাধ্যম এক্সে (প্রাক্তন টুইটার) দেয়া বার্তায় তিনি লেখেন, “জায়োনিজম কেবল একটি রাজনৈতিক প্রকল্প নয়, বরং এটি ইসলামবিরোধী ঔপনিবেশিক শক্তির সংগঠিত রূপ। তারা ইসলামী পরিচয় ও অস্তিত্বকেই টার্গেট করেছে।”

তিনি বলেন, “এমন এক শত্রুর মোকাবেলায় ঐক্য কেবল পরামর্শ নয়, বরং তা বুদ্ধিবৃত্তিক ও ধর্মীয় দিক থেকেও একটি বাধ্যতামূলক কর্তব্য। এই বাস্তবতায় বিভেদ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

সাম্প্রতিক যুদ্ধের প্রেক্ষাপট
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, গত ২৩ খোরদাদ ১৪০৪ (১৩ জুন ২০২৫) তারিখে, ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ওই হামলায় ইরানের একাধিক জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিক শহীদ হন।

কিন্তু ওই রাতেই ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড ইসরায়েলকে কঠিন জবাব দেয়। ইরানের হামলায় বিপর্যস্থ হয়ে উঠলে ইসরায়েলের সহযোগী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র ফোর্দো, নতাঞ্জ ও ইসফাহান-এ আক্রমণ চালায়।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ১২ দিনব্যাপী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেয় এবং মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় কাতারে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়।

অবশেষে, ২৪ জুন সকালের দিকে দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha