হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ লেবাননের রাজনৈতিক পরিষদের নেতা মাহমুদ কামাতি বলেছেন, ইরান সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিজয় অর্জন করেছে এবং এতে করে অঞ্চলজুড়ে ইরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।
স্পুটনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কামাতি বলেন, নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টাগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ইরানকে দুর্বল করার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে এবং বাস্তবে ইরান বিজয়ীরূপে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু শক্তি ইরানের এই বিজয়কে ব্যর্থতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে এবং আমেরিকার হামলাকে একটি সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছে, অথচ ট্রাম্প নিজেই আবারো আলোচনায় ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
কামাতি বলেন, এখন অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ইরানের হাতে। ইরান আমেরিকা ও ইসরায়েল উভয়ের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। এমন একটি নতুন বাস্তবতা গড়ে উঠেছে যা আমেরিকা বা ইসরায়েলের চিন্তারও বাইরে ছিল। এই বিজয়ের মাধ্যমে ইরান প্রমাণ করেছে যে সে একটি দৃঢ়সংকল্প ও বলিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী, এবং তার পাশে রয়েছে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিশালী মিত্র।
তিনি এ কথাও স্পষ্ট করেন যে, ইরান শুধু ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধ ফ্রন্টকেই শক্তিশালী করেনি, বরং তাদেরও নতুন দিশা দেখিয়েছে যারা সাময়িকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। এখন এসব আরব দেশ ইরানের ওপর হামলার নিন্দা ও তার প্রতি নীরব সহানুভূতি প্রকাশ করে মূলত প্রতিরোধের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
কামাতির মতে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে যে ধ্বংস সাধিত হয়েছে, তা সমগ্র মুসলিম বিশ্ব, আরব দুনিয়া এবং বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের জন্য এক আশার বার্তা। ইরান তার সংকল্প, মনোবল এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল ও তার মিত্রদের জন্য এক নতুন কৌশলের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি হিজবুল্লাহ ও ইরানের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সম্পর্ক আদর্শগত, রাজনৈতিক ও কৌশলগত। ইরান কখনো আমাদের কাছে বা এমনকি লেবানন সরকারের কাছেও এমন কিছু দাবি করেনি যা আমাদের জাতীয় প্রতিরোধ নীতির পরিপন্থী।
আপনার কমেন্ট