হাউজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, tabnak.ir -এ প্রকাশিত একটি খবর:
ইসরাইলের জন্য অস্ত্র বহনকারী একটি সামুদ্রিক সৌদি জাহাজ ( যার নাম ইয়াম্বু') ইতালির এক বন্দরে (জেনোয়া) আটকানো হয়েছে ঐ বন্দরের কর্মচারীগণ কর্তৃক গাযায় ইসরাইলের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের প্রতিবাদে!
ইসরাইলের জন্য অস্ত্র বহনকারী একটি সামুদ্রিক সৌদি জাহাজ ইতালির এক বন্দরে আটক
এ খবর নিয়ে কিছু কথা:
উক্ত সৌদি জাহাজের জন্য সেবা প্রদানকে ঐ বন্দরের কর্মচারীরা বিবেচনা করছে ইসরাইলের অপরাধ সমূহে অংশগ্রহণ। কিন্তু সৌদিরা তথাকথিত মুসলিম হয়েও অপরাধী ইসরাইলের অপরাধ ও অপকর্মে শরীক হচ্ছে এই ইসরাইলের জন্য নিজেদের জাহাজে করে অস্ত্র সরবরাহে অংশগ্রহণ করে। এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে সৌদি শাসকদের খাঁটি ঈমান নেই।আর ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা এবং মনুষ্যত্ব ও বিবেকবোধ বলতেও কিছুই নেই তাদের।এদের এ কাজ নি:সন্দেহে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি বিরাট বড় খিয়ানত ও অপূরণীয় ক্ষতিসাধন। আর তারা (সৌদি শাসকরা) মৌখিক ভাবে ইসরাইলের অপরাধের নিন্দা করছে কিন্তু তলে তলে তারাই আবার ইসরাইলকে গোপনে সাহায্য ও সহযোগিতা এবং সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে যেমন: নিজেদের জাহাজে ( ইয়াম্বু) করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) থেকে অস্ত্র ইসরাইলে চালান দিচ্ছিল তারা (সৌদিরা) যা ইতালির জেনোয়া বন্দরে ঐ বন্দরের কর্মচারীরাই আটক করেছে। তাহলে এটা তো অত্যন্ত লজ্জাজনক,দু:খজনক,অপমানকর এবং ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি সৌদিদের বিরাট বড় খিয়ানত ( বিশ্বাসঘাতকতা) হওয়ার পাশাপাশি তাদের স্পষ্ট নিফাক ও মুনাফিকীও বটে। আজকের দিনে নিফাক ও মুনাফিকীর নমুনা হচ্ছে এই সৌদি শাসক চক্র এবং তাদের মতো কতিপয় আরব ও অনারব দেশের সরকার ও শাসকবর্গ যারা মুখে মুখে কেবল ইসরাইলের অপরাধের নিন্দা করছে কিন্তু তলে তলে ইসরাইলের সাথে ব্যবসায় বাণিজ্য ও লেনদেন পূর্ণ দমে বহাল রেখেছে ও চালিয়ে যাচ্ছে!!!
আর সৌদি জাহাজ আটকের এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় যে সৌদি শাসকবর্গ ইতালির জেনোয়া বন্দরের প্রতিবাদী বিধর্মী খ্রিষ্টান কর্মচারীদের চেয়েও বহুগুণ নিকৃষ্ট!!
রিপোর্ট: মুহাম্মদ আবদুর রহমান
আপনার কমেন্ট