রবিবার ৩১ আগস্ট ২০২৫ - ১৮:০৬
ইরান যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি ঘোষণা করেছেন, ইমাম খামেনেয়ির নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী জাতির সুরক্ষা এবং শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: মেজর জেনারেল হাতামি বলেন, দেশের আকাশসীমা রক্ষায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রথম সারিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে এ বাহিনী প্রমাণ করেছে যে তারা যেকোনো পর্যায়ের হুমকির মোকাবিলায় সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, শহীদ ও যোদ্ধারা বিপ্লব ও মাতৃভূমির সুরক্ষায় আত্মত্যাগের অসামান্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। শত্রুরা ইরানের বিরুদ্ধে অপশক্তি প্রয়োগ ও ক্ষতিকর লক্ষ্য সাধনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী নেতার দিকনির্দেশনায় ঐক্য ও দৃঢ়তার মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে।

সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, শহীদরা বৈশ্বিক ঔদ্ধত্যবাদী শক্তিগুলোর ইরানের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে শয়তানি পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং তাদের আত্মত্যাগ জাতির গৌরব বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

তিনি আশ্বস্ত করেন, ইরানের সাহসী সেনারা সব প্রতিরক্ষামূলক সামর্থ্য ব্যবহার করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত। তিনি অঙ্গীকার করেন, বিপ্লব ও শহীদদের আদর্শ পূরণের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অটল থাকবে।

পটভূমি: ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক আগ্রাসন চালায়, যা ১২ দিনের বিধ্বংসী যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে অন্তত ১,০৬৪ জন নিহত হন, যার মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।

এই সময় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী দখলদার ভূখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো এবং কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি—পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি—লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।

২৪ জুন, ইরানের সফল পাল্টা অভিযানের ফলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সন্ত্রাসী আগ্রাসন থামাতে বাধ্য হয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha