হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মরহুম শহীদ মুর্তজা মুতাহহারী তাঁর বক্তব্যে মুসলিম সমাজে ঐক্য ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের যা প্রত্যাশা ও কামনা, তা হলো একটি সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হোক। কারণ আমাদের নিজস্ব উসূল ও ফুরু, ফিকহ, হাদিস, কালাম, দর্শন, তাফসির ও সাহিত্য রয়েছে। যেন আমরা আমাদের জ্ঞান ও মূল্যবান সম্পদকে সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে বিশ্বে উপস্থাপন করতে পারি। এতে শিয়া সম্প্রদায় আর নিঃসঙ্গতার মধ্যে থাকবে না এবং ইসলামী বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো শিয়ার জ্ঞানের অনন্য ভাণ্ডারের প্রতি খোলা থাকবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আয়াতুল্লাহ আল উজমা বোরুজেরদীও একই দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করতেন। তাঁর মতে, ইসলামের বিভিন্ন ফিকহি ও কালামি মতভেদ মোটেও সামান্য নয়; বরং এগুলো যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তবে এসব পার্থক্য কখনোই একে অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণ হতে পারে না।
মুতাহহারী বলেন, অনেকে বিশেষ করে গণমাধ্যমে এসে বলেন—আমাদের নব্বই শতাংশ মিল আছে, মাত্র দশ শতাংশ অমিল। বাস্তবে যারা এভাবে বলে তারা ইসলামকেই সঠিকভাবে জানে না। হ্যাঁ, আমাদের মতভেদ আছে, এবং তা কম নয়। ফিকহ, কালাম, কুরআনের তাফসিরসহ বহু বিষয়ে পার্থক্য বিদ্যমান। কিন্তু এসব মতভেদ আমাদের মধ্যে গালিগালাজ বা হানাহানির জন্ম দেবে না।
তিনি আরও যোগ করেন, যেভাবে আমার নিজের বিশ্বাস আমার কাছে সম্মানিত, তেমনি আহলুস সুন্নাহর বিশ্বাসও তাদের কাছে সম্মানিত। আমি তাদের বিশ্বাসকে মেনে নেই না, যেমন তারাও আমার বিশ্বাসকে মেনে নেয় না। তবে আমি আমার বিশ্বাসে অটল, সেভাবেই তারা তাদের বিশ্বাসে অটল।
বিশ্লেষকদের মতে, শহীদ মুতাহহারীর এ বক্তব্য ইসলামী সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ঐক্য ও সহনশীলতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক মূল্যবান দিকনির্দেশনা।
আপনার কমেন্ট