হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরার পর স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে থুনবার্গ বলেন, “আমাকে ও আমার সঙ্গীদের ইসরায়েলি সেনারা ধরে নিয়ে যায় এবং বন্দি অবস্থায় আমাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করে। আমাদের পান করার মতো পরিষ্কার পানি দেওয়া হয়নি এবং অন্যান্য আটককৃতদের প্রয়োজনীয় ওষুধও মঞ্জুর করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে যা সহ্য করেছি, তা বিস্তারিত বলতে চাই না; কারণ আমি চাই না সংবাদ শিরোনাম হোক ‘গ্রেটা নির্যাতিত’। আসল গল্প এটি নয়। আমাদের ওপর যা ঘটেছে, তা গাজার জনগণ প্রতিদিন যা ভোগ করছে তার তুলনায় কিছুই নয়।”
থুনবার্গ ছিলেন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একজন সদস্য—একটি আন্তর্জাতিক নৌবহর, যার লক্ষ্য ছিল গাজার মানুষকে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সেখানে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গাজার ২২ লক্ষাধিক অধিবাসী বাস্তুচ্যুত এবং অঞ্চলটিতে তীব্র ক্ষুধা ও মানবিক সংকট বিরাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থুনবার্গসহ ৪৭৮ জন যাত্রীকে গত সোমবার ইসরায়েলি সেনারা আটক করে। এর আগে জুন মাসেও তিনি গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করার সময় সাগরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
সুইডিশ মানবাধিকার কর্মীদের বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়েছে, আটক অবস্থায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা থুনবার্গকে ধাক্কা দিয়েছে এবং তাকে জোর করে ইসরায়েলের পতাকা গায়ে জড়াতে বাধ্য করেছে।
আপনার কমেন্ট