হাওজা নিউজ এজেন্সি: “আমি যখন বলব, তখনই ইসরায়েল সেই রাস্তাগুলোতে ফিরে যাবে,” তিনি বুধবার সিএনএন-কে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “যদি তাদের ক্ষমতা থাকে, তারা গাজায় যতটুকু ধ্বংস করতে পারে, করবে।”
ট্রাম্পের মন্তব্যে ইসরায়েলি বাহিনীর কড়া লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট— যেখানে প্রায় বিশাল ক্ষতি-নাশ এবং বিপুল প্রাণহানি হয়েছে— উপেক্ষিত রাখা হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংঘাত চলাকালীন এপর্যন্ত ৬৭,৯৩৮-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে নারী ও শিশু।
এ মাসের শুরুর দিকে মিশরে পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার খবর আছে। ওই চুক্তিতে হামাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল যে, তারা জীবিত ও মৃত—সকল ইসরায়েলি বন্দিকে হস্তান্তর করবে।
বুধবার হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস নিশ্চিত করেছে যে, তারা সকল জীবিত বন্দিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কিমিটির (ICRC) হাতে তুলে দিয়েছে। ব্রিগেডস জানান, যেখানে সম্ভব তারা মৃতদেহও হস্তান্তর করেছে।তবে তাঁরা জোর দিয়ে বলেছেন যে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও ইসরায়েলের বারবার চুক্তি লঙ্ঘন নিহতদের মরদেহ উদ্ধারকে অত্যন্ত জটিল ও বিপজ্জনক করেছে।
নতুন আগ্রাসনের হুমকি
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির কড়া বাস্তবতাকে নিয়ে নতুন সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছিলেন যে, দখলদার বাহিনী খুব শিগগিরই গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করতে পারে।
আপনার কমেন্ট