শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫ - ১৩:১০
ক্ষমা ও সহনশীলতায় প্রকৃত মর্যাদা নিহিত

সমাজে শান্তি, ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মান প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি হলো ক্ষমাশীলতা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন—ক্ষমা কোনো দুর্বলতার নয়, বরং এটি এক মহৎ শক্তি, যা মানুষকে প্রকৃত মর্যাদা ও সম্মানের উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন,
عَلَیکُم بِالعَفوِ؛ فَإِنَّ العَفوَ لا یَزیدُ العَبدَ إِلّا عِزّاً، فَتَعافَوا یُعِزَّکُمُ اللّهُ.
অর্থাৎ— “তোমরা ক্ষমাশীল হও; কারণ ক্ষমা এমন এক গুণ যা বান্দার মর্যাদা ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে না। অতএব, তোমরা পরস্পরকে ক্ষমা করো, আল্লাহ তাতে তোমাদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।”

[আল-কাফি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৮, হাদীস ৫]

ক্ষমা মানুষের হৃদয়কে প্রশান্ত করে, বিদ্বেষ ও প্রতিশোধের আগুন নিভিয়ে দেয় এবং সমাজে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করে। আল্লাহ যাদের অন্তরে ক্ষমার গুণ দান করেন, তাঁরাই সত্যিকারের সম্মানিত ও মর্যাদাবান ব্যক্তি। ক্ষমাশীলতা তাই শুধু নৈতিক সৌন্দর্য নয়, বরং আল্লাহপ্রদত্ত মর্যাদার প্রতিফলন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha