হাওজা নিউজ এজেন্সি: বৈঠকটি রাহবারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষ বৈঠকে বিশ্ব ইসলাম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে শিয়া হকুমতের (হাওজায়ে ইলমিয়াহ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে ছাত্র-ছাত্রী ও ধর্মপ্রচারকদের সক্রিয় উপস্থিতির গুরুত্ব, ইসলামী কনফারেন্স, আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও শিক্ষামূলক আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় করেন।
বাংলাদেশে কোরআনি কার্যক্রম সম্প্রসারণের গুরুত্ব
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশে কোরআনি কার্যক্রম ও ধর্মীয় প্রচারণার বিস্তারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেন।
হুজ্জাতুল ইসলাম আলীজাদেহ মুসাভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ধর্মপ্রচারক, আলেম-ওলামা ও কোরআনের ক্বারিদের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ প্রদর্শন করে। তিনি বলেন, এই দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় কোরআন সংস্কৃতি প্রচারের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষিত ও সাধারণ জনগণ উভয়ই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহী।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ কোরআনি ধর্মপ্রচারকদের প্রেরণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে কোরআনের শিক্ষা ও সংস্কৃতি আরও কার্যকরভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এবং স্থানীয় জনগণকে প্রগতিশীল ইসলামী শিক্ষায় সমৃদ্ধ করা সম্ভব হয়।
উভয় পক্ষ এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক ধর্মপ্রচার কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসংগঠিত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক ধর্মপ্রচার ও সাংস্কৃতিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
এই বৈঠকটি ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক ধর্মপ্রচার কার্যক্রমে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং বিশ্ব ইসলাম, বিশেষ করে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশে ধারাবাহিক কোরআনি কার্যক্রম ও ধর্মীয় প্রচার একদিকে যেমন স্থানীয় জনগণকে ইসলামিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ করবে, অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক স্তরে ইসলামী সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে।
বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে নিয়মিত বৈঠক, সম্মেলন ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সম্পর্ক ও কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আপনার কমেন্ট