হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমা সংস্কৃতির মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাবের কারণেই মেক্সিকোর নারী প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত যৌন হেনস্থা,হয়রানি ও শ্লীলতাহানি থেকে নিরাপদ নয়। মেক্সিকোর নারী প্রেসিডেন্টই যদি নিরাপদ না হয় তাহলে দেশটির নারীদের নিরাপত্তা আদৌ আছে কি?!!!! পশ্চিমা সংস্কৃতি যেখানেই প্রভাব বিস্তার করবে সেখানেই নারীদের জন্য এমন নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ,বলয় ও আবহ তৈরি হবেই!! উদাহরণস্বরূপ: অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টকে বলা হয় নারী কর্মচারীদের জন্য সবচেয়ে যৌন নিগ্রহের ও হেনস্থার স্থান বা জায়গা।কারণ সেখানকার নারী সংসদ সদস্যা এবং মহিলা কর্মীচারীরা তাদের পুরুষ কলিগদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি যৌন নিগ্রহ, পীড়ন,হেনস্থা,হয়রানি ও শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে!!!!
যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে কর্মচারীদের এক তৃতীয়াংশ ও দেশটির নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার এবং রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরো বেশি এবং যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রতি তিনজন নারী কর্মীর একজন যৌন হয়রানির শিকার সেহেতু অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট এ কারণে সবচেয়ে যৌন পার্লামেন্ট বলে কুখ্যাতি লাভ করেছে!!!!বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন:
অস্ট্রেলিয়া একটি চরম অভদ্র , অসভ্য , অশালীন , অনৈতিক চরিত্রহীন দেশ
https://bn.hawzahnews.com/news/375047
আর যুরার (যুক্তরাজ্য) বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসল স্বরূপ ও অবস্থা:"যুরার ( যুক্তরাজ্য ব্রিটেন ) ৬০% ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হামলা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে ! তাহলে যুরা অর্থাৎ ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ দেশটির সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হওয়ার পাশাপাশি যৌন ও নারী নির্যাতন কেন্দ্রও বটে।"
"অবাধ অবৈধ যৌনাচার,যিনা ও ব্যভিচারের পাশাপাশি ধর্ষণ ও নারীদের ওপর এমনকি শিশু মেয়েদের ওপর যৌন অত্যাচার , নির্যাতন , নিপীড়ন , আঘাত ও আক্রমণ হু হু করে বাড়ছেই লাগামহীন ভাবে। যেমন: যুরার ( যুক্তরাজ্য ) ৬০ % ছাত্রী সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যৌন হামলা , আক্রমণ ও আঘাতের শিকার হচ্ছে ! যুরার (ব্রিটেন )সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি নারী বা ছাত্রীদের যৌন নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ঐ হতচ্ছাড়া বজ্জাত খবীস পিশাচ বদমাইশ দেশটির বাকি জায়গায় নারীদের যৌন নিরাপত্তা কেমন হবে ? যুরার ( ব্রিটেন) বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হওয়ার পাশাপাশি নারী নিগ্রহ, নির্যাতন , নিপীড়ন , উৎপীড়ন , ধর্ষণ , আঘাত ও অত্যাচারের কেন্দ্রেও পরিণত হয়েছে। যুরায় ( ব্রিটেন ) নারীর বিদ্যার্জন এবং যৌন লাঞ্ছনা ও নির্যাতন পাশাপাশি চলছে যা সত্যিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্চর্য বলতেই হবে এবং এজন্য যুরাকে ( যুক্তরাজ্য ) কি বাহবা দেওয়া উচিত ?!!! ধর্ষণে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা - ব্রিটেন ও ভারত ( দেখুন যুগান্তর ২৬- ১০ - ২০১৬ ) । দক্ষিণ আফ্রিকা,মাযুরা (যুক্তরাষ্ট্র ),সুইডেন,যুরা (ব্রিটেন ) , ভারত,কানাডা,নিউজিল্যান্ডে, অস্ট্রেলিয়া,ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড ধর্ষণে বিশ্বে শীর্ষ দশ দেশ। এ থেকে স্পষ্ট লক্ষ্যনীয় যে বিশ্বের পাঁচ অ্যাংলোফোনিয়ান ( ইংরেজি ভাষাভাষী) দেশ ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ) ধর্ষণে বিশ্বে শীর্ষ দশে রয়েছে এবং ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতি চরমভাবে ধর্ষকামী । আর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতও ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতি দিয়ে অত্যন্ত প্রভাবিত। সেই সাথে ডেনমার্ক , সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতি দিয়ে চরম ভাবে প্রভাবিত। তাই প্রকারান্তরে বলা যায় ও প্রমাণিত হয় যে ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতির এ দশ দেশ চরম পর্যায়ের ধর্ষকামী ও ধর্ষণে বিশ্বে শীর্ষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ দশ দেশ । এখান থেকে বোঝা যায় যে বাংলা ও ভারত বর্ষে যুরা বা ব্রিটিশ শাসনের সূচনালগ্নে ভারতবর্ষের মুসলিম আলেম সমাজ কেন ইংরেজি ভাষা , সাহিত্য ও সংস্কৃতি বর্জনের ফতোয়া দিয়েছিলেন !! এই ইংরেজি ভাষা সংস্কৃতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে চরম, বিকৃত ও পৈশাচিক বস্তুবাদিতা , অসভ্যতা , বর্বরতা , বিচ্যুতি , উম্মাদনাকর ধর্ষকামিতা ও উগ্র যৌনতা । অন্য সকল ইউরোপীয় ভাষা সংস্কৃতির অবস্থাও তথৈবচ - এই উন্নিশ আর বিশ । তাই এ ভাষা সংস্কৃতি কবলিত জাতি ও দেশ ধর্ষণে বিশ্বে শীর্ষ দশ না হলে কোন্ দেশ হবে তাহলে ?
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন:
যুক্তরাজ্যে ৬০% ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হামলা ও আক্রমণের শিকার
https://bn.hawzahnews.com/news/397593
আর এ ধরনের যৌন আক্রমণ, আগ্রাসন,হেনস্থা,নিপীড়ন, উৎপীড়ন ও শ্লীলতাহানির প্রচণ্ড মানসিক আঘাত ও ট্রমার দু:স্বপ্ন ভুক্তভোগী অনেক নারী সারাজীবন বয়ে বেড়ায় এবং এগুলো তাদেরকে তাড়িত করতে থাকে!!!!!! তাই এ বিষয়টা বিবেকবোধ,নীতি-নৈতিকতা, সহজাত মানব প্রকৃতি,ধর্ম, মনোদৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা এবং আত্মিক শুচিতা ও নিরাপত্তার দৃষ্টি কোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে অসভ্য কুৎসিত বেহায়া অভদ্র অসভ্য অশালীন কুরুচিপূর্ণ লুচ্চা বদমাইশ পশ্চিমা কুসংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতির স্বরূপ হচ্ছে ঠিক এমনই। কিন্তু আমাদের সমাজ ও দেশে এই পশ্চিমা অপ ও কুসংস্কৃতির ভক্ত ও অনুরক্তরা কি তা আসলে বোঝে?!!!
রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আপনার কমেন্ট