হাওজা নিউজ এজেন্সি: রয়টার্সকে দেওয়া সোমবারের এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সুদানি বলেন, “ইরাক কেবল তখনই প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ করতে পারবে, যখন যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে।”
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ইরাক ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে দেশের সব ধরনের অস্ত্র রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অধীনে আনা হবে; কিন্তু যতদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইরাকে অবস্থান করছে— যা বহু ইরাকি গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে এখনো এক ধরনের দখলদার বাহিনী— ততদিন এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
সুদানি আরও বলেন, “আজ দেশে আর কোনো আইএস নেই। আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে ইরাকে ৮৬টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত এই জোটের উপস্থিতির যৌক্তিকতা কী?”
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী বহুজাতিক “আইএস-বিরোধী জোট” সম্পূর্ণভাবে ইরাক থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তাঁর মতে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হুমকি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিদেশি বাহিনী দেশ ছাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
            
                
আপনার কমেন্ট