হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আল-উযমা জাওয়াদি আমুলী তার নৈতিক শিক্ষার এক পাঠে “প্রকৃত হিকমত” বা সত্যিকারের জ্ঞান বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন, “এটি এমন একটি দুর্গ, যার প্রহরক একমাত্র আল্লাহ; আর প্রহরী হলেন আলী (আ.) ও তার বংশধর। যখন ‘لا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ’ প্রবেশ করল, তখন ‘وَلَايَةُ عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ’ও একসাথে প্রবেশ করল; অর্থাৎ এ দুটি আলাদা নয়, বরং একক সত্য।”
কোরআন ও হাদিসও এ সত্যকে প্রমাণ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
“আর যারা আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য পথ বের করবেন এবং অজানাতে তাকে রিজিক দেবেন।”
[সুরা আত-তালাক: ২-৩]
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا
“আমি জ্ঞানের শহর, আলী হলেন তার দরজা।”
অর্থাৎ কেউ সঠিক পথ অবলম্বন না করে ভিন্ন পথে কেবল কয়েকটি শব্দ শিখলেও— তা চুরি বা অপরিপূর্ণ অংশমাত্র। এমন জ্ঞান মানুষের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে, কল্যাণ নয়।
আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলী আরও বলেন, “যদি কেউ শুধু নামমাত্র শিয়া হয়, কিন্তু প্রকৃতভাবে নয়, তবে সে কিছু শিখলেও তা সঠিক পথে প্রাপ্ত হয় না। আমাদের পথ হলো বিশ্বাস ও আমাদের নির্দেশনায় আমল। কেউ হতে পারে মুফসসির, ফকিহ বা হাকিম, বই লিখতে পারে, কিন্তু যদি জ্ঞান বেলায়েতের পথ থেকে না আসে, তাহলে তা তার নিজস্ব নয় এবং মানুষের রক্ষকও নয়।
সূত্র: সুরা তুর, সেশন তারিখ: ১২/১১/১৩৯৫ ফার্সি সন
আপনার কমেন্ট