হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আমলী সঠিক পথ চিনতে বিবেকের ভূমিকা সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেন, “ইমাম আলী (আ.) ব্যাখ্যা করেছেন যে মানুষ একজন পথিক, যার গন্তব্যে পৌঁছাতে পথ ও পথপ্রদর্শক প্রয়োজন। এই গন্তব্য মিষ্টি বা তিক্ত হতে পারে—পছন্দ পথিকের নিজের। প্রত্যেকের জীবনের পরিণতি তার কর্মের ফল। কোনো ইচ্ছা, চেষ্টা বা কাজই বৃথা যায় না। 'যদি বোঝা কাঁটার হয়, তুমিই তা বুনেছ; আর যদি রেশমি হয়, তুমিই তা গেঁথেছ।' যারা অজ্ঞতা বা মূর্খতায় জীবন কাটায়, তাদের বোঝা কাঁটার মতো। মানুষকে বিবেক ও জ্ঞানের আলোয় বাঁচতে হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “বিবেক বিহীন মানুষের সিদ্ধান্ত ভুল হবে, জীবন কাল্পনিক ও বিভ্রান্তিতে ভরপুর। কুরআনে এমন ব্যক্তিকে 'মুখতাল' (অহংকারী) বলা হয়েছে। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না, যারা কল্পনায় বাস করে (সূরা লুকমান ৩১:১৮)। ইসলামী উম্মাহর শক্তি অহংকার নয়, বরং এমন মর্যাদা ও শক্তি যা শত্রুদের আক্রমণ থামায়। কুরআনভিত্তিক সমাজকে দুর্বল নয়, সম্মান ও শক্তি নিয়ে এগোতে হবে।”
সূরা তাওবার আয়াত ১২৩-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “শত্রুরা তোমাদের ভয় পাবে—এটি আল্লাহর অলঙ্ঘনীয় বিধান। ইসলামী উম্মাহকে এতটা শক্তিশালী হতে হবে যেন শত্রু আক্রমণের সাহসই না পায়। তাদের মধ্যে সাহস ও দৃঢ়তা থাকতে হবে।”
তিনি যোগ করেন, “প্রতিরোধ ক্ষমতা সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তির ওপর নির্ভরশীল। সমাজে দুর্নীতি বা বিশৃঙ্খলা থাকলে চলবে না। কুরআন শুধু পবিত্র রাতের জন্য নয়, এটি জীবন্ত গ্রন্থ—দৈনন্দিন জীবনের মন্ত্র।”
ইরানের ইতিহাস ও অবদানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “ইরান মহান জাতি। এখানেই কুরআনের মহান ব্যাখ্যাকার ও হাদিস সংকলকদের জন্ম। আজ আমরা বিশ্বে আহলে বাইতের পতাকাবাহী। আমাদের মহত্ত্বকে চিনতে হবে, তা বিক্রয়যোগ্য নয়।”
উপসংহারে তিনি বলেন, “কুরআন সমাজকে প্রাণবন্ত করে। যে সমাজে কুরআনের আয়াত সঠিকভাবে বোঝা ও মানা হয়, সেটিই সত্যিকারের জীবন্ত সমাজ।”
আপনার কমেন্ট