হাওজা নিউজ এজেন্সি : বিবৃতিতে তারা সরাসরি সতর্ক করে বলেন, ইসরাইল যদি দ্রুত এই পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আসন্ন কয়েক দিন ও সপ্তাহে গাজার হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও নারী, অনাহারে মৃত্যুবরণ করতে পারেন।
নেতারা বলেন, “গাজায় যে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় ঘটছে, তা সামনে রেখে আমাদের নীরব থাকা চলবে না।” তারা জাতিসংঘের মানবিক তৎপরতা—বিশেষত UNRWA-এর কার্যক্রমে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানান এবং সংস্থাগুলোকে নিরাপদ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইলের সামরিক অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৩,২৭২ জন এবং আহত হয়েছেন ১,২০,৬৭৩ জনের বেশি। ৪০ দিনের এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর ২০২৫ সালের ২ মার্চ থেকে আবারও গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করা হয়, যা ৭৪ দিন ধরে চলমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চলমান খাদ্য সংকটে অন্তত ৫৭ শিশু ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। Integrated Food Security Phase Classification (IPC)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল যদি ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গাজা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পতিত হবে।
IPC জানায়, অবরুদ্ধ গাজার প্রতি পাঁচজন বাসিন্দার একজন নিয়মিত অনাহারে থাকে এবং প্রায় ৭১,০০০ শিশুর মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দেখা গেছে।
রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান
ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফিরতে ইসরাইল ও হামাস—উভয় পক্ষকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই শান্তির জন্য এখনই সমন্বিত আলোচনার উদ্যোগ প্রয়োজন। তারা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে জাতিসংঘ এবং আরব-ইসলামি দেশগুলোর অংশগ্রহণে একটি রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এছাড়াও নেতারা পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণ ও ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আপনার কমেন্ট