হাওজা নিউজ এজেন্সি: মাজমা’য়ে তাকরিব বাইনাল মাজাহিব তথা বিশ্ব ইসলামি মাজহাব ঐক্য পরিষদের মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হামিদ শাহরিয়ারী ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ব্যক্তিত্বের বহুমাত্রিক দিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, “ইমাম (রহ.)-এর মধ্যে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিল। তিনি ইসলামী দর্শন, ইসলামী ইরফান (আধ্যাত্মিকতা) ও ইসলামী ফিকহ - এই তিনটি ভিন্ন বিদ্যাচর্চাকে এক সত্তায় সমন্বিত করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি তিনটি ইসলামী শাস্ত্রে পূর্ণতা অর্জন করেছিলেন এবং তিনটি আপাতবিরোধী কর্তৃত্বকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছিলেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ফিকহশাস্ত্র, দর্শন ও ইরফানের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি সাধারণ সূত্র রয়েছে যা ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছিল। ফিকহশাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের একজন মারজা (অনুসরণীয় ব্যক্তি) প্রয়োজন। দর্শন, বিশেষত মাশশাই দর্শনে মানুষ একটি সম্ভাবনাময় সত্তা যাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে একজন শিক্ষকের প্রয়োজন। আর ইরফানের পথে চলতে আমাদের একজন পীর-মুর্শিদের দরকার হয়। এই তিনের (মারজা, শিক্ষক ও মুর্শিদ) সম্মিলনেই ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ‘বেলায়েত’ তত্ত্বের জন্ম হয়েছিল, যা সংবিধানে স্থান পেয়ে বিপ্লবকে বিজয়ী করেছিল।”
ইসলামের সমন্বিত রূপ:
মাজমা’য়ে তাকরিবের মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, “ইসলাম একটি সমন্বিত মতাদর্শ যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর মতো ব্যক্তিত্ব দেখেনি। ইমাম ইসলামের সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের ও তরুণ প্রজন্মের কাছে ইসলামী বিপ্লবের এই সমন্বিত মতাদর্শ উপস্থাপন করেছিলেন।”
ইসলামী ঐক্যের তত্ত্ব:
বক্তব্যের সমাপ্তিতে হুজ্জাতুল ইসলাম শহরিয়ারী বলেন, “ইমাম খোমেনী (রহ.) ‘বেলায়েতে ফকীহ’ প্রতিষ্ঠা এবং তার ভিত্তিতে গণমুখী ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যমে ‘ইসলামী ঐক্য’ নামে একটি তত্ত্ব দিয়েছেন। এই ধারণা বিশ্ব ইসলামের বিভিন্ন মাজহাব ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের অপরিহার্যতার ওপর জোর দেয়। বাস্তবিকই ইমাম খোমেনী (রহ.) তাঁর সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন।”
আপনার কমেন্ট