হাওজা নিউজ এজেন্সি: শাদেগানের ইমাম খোমেনি (রহ.) মসজিদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে—যেখানে সাধারণ মানুষ, আলেমগণ, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন—ইয়াকুব মোকাদ্দাম এই মন্তব্য করেন। তিনি এ সময় ১৫ খোরদাদের (৫ জুন) শহীদদের স্মরণে ও ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর ওফাতবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, “আজ আমাদের দায়িত্ব হলো ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে তাঁর মূলনীতি ও লক্ষ্যসমূহ এ জাতির হৃদয়ে জীবন্ত থাকে।”

ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “ইমাম (রহ.) বিপ্লবের শুরুতে মানুষের চিন্তাভাবনা, মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছিলেন। এই মানসিক রূপান্তরের মাধ্যমেই তিনি জনগণকে সঙ্ঘবদ্ধ করে শাহি স্বৈরশাসনকে উৎখাত করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”

মোকাদ্দাম বলেন, “ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিল যে তিনি আধ্যাত্মিকতা (ইরফান), রাজনীতি এবং সমাজ পরিচালনার দক্ষতাকে একত্র করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে সক্ষম হন। তাঁর চিন্তা, জীবনাচার এবং শাসন-পদ্ধতিতে জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “তাই ইমাম খোমেনি (রহ.) কেবল ইরানের নয়, গোটা ইসলামী বিশ্বের মানুষের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছেন। তিনি শুধু একজন ধর্মীয় নেতা ছিলেন না; বরং একজন জাতীয় নেতা হিসেবে দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি ও অটুট সংকল্পের মাধ্যমে জাতিকে মানবিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়ের পথে পরিচালিত করেছেন।”

বর্তমান করণীয়
শাদেগানের গভর্নর বলেন,  “আজ আমরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর নেতৃত্বে সেই একই আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি। আমাদের উচিত ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর উত্থাপিত মূল্যবোধগুলো ধারণ করে একটি আরও ন্যায্য ও মানবিক সমাজ গঠনে এগিয়ে যাওয়া।”

তিনি বলেন, “ইমামের পথ হলো দরিদ্র ও বঞ্চিতদের প্রতি সহানুভূতির, মানবিক মর্যাদা রক্ষার, এবং দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথ।”

প্রাসঙ্গিক তথ্যা: শাদেগান শহরটি ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের কেন্দ্র আহওয়াজ শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।