বৃহস্পতিবার ৫ জুন ২০২৫ - ০৯:৪০
‘আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী’— একাই বিশ্ব শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে অটল দন্ডায়মান

ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম শহরে অবস্থিত হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)’র পবিত্র মাজার শরীফে হযরত মুসলিম ইবনে আকীল (আ.)-এর শাহাদাত রজনীতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মির্জা মুহাম্মদী বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) বিশ্বাস করতেন যে যদি কোনো আন্দোলন আল্লাহর জন্য হয় তবে এককভাবেই তা সফল হতে পারে। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী (হাফি.) একাই পশ্চিমা শক্তিসমূহ ও এই মহাশয়তানের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে অবিচল রয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মির্জা মুহাম্মদী বলেন,পবিত্র কুরআন মুমিনদের জন্য উপদেশগ্রন্থ। আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সা.)-কে নির্দেশ দিয়েছেন মানুষকে এই উপদেশ দিতে যে, তাগুতের বিরুদ্ধে ও আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রাম করতে হবে।

মির্জা মুহাম্মদী বলেন, আল্লাহর জন্য সংগ্রামই হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে নমরূদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করেছিল, হযরত মূসা (আ.)-কে একটি লাঠি নিয়ে ফেরাউনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছিল এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জাহেলী সমাজকে সভ্য ও তাওহীদভিত্তিক সমাজে রূপান্তরিত করতে সক্ষম করেছিল।

তিনি ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলেন, ইমাম (রহ.) তার আন্দোলনের জন্য ব্যাপক মূল্য দিয়েছেন। তিনি খালি হাতেই তৎকালীন তাগুত শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি কোনো শক্তিকেই ভয় করতেন না, কারণ তাঁর পেছনে ছিল আল্লাহ তায়ালার অফুরন্ত শক্তি। আহলে বাইত (আ.)-এর মাদ্রাসায় শিক্ষালাভ করায় তিনি এমন এক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন যিনি তাগুত ও বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর ভয় মোটেই মনে স্থান দিতেন না।

মির্জা মুহাম্মদী বলেন, ইমাম (রহ.)-এর উত্তরসূরী হিসেবে আজকে আমরা মর্যাদাবান রাহবারের মধ্যে সেই আল্লাহর জন্য সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। তিনি একাই পশ্চিমা সভ্যতা ও এই মহাশয়তানের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি শত্রুদেরকে পবিত্র ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতার শ্রমকে নষ্ট করতে দিচ্ছেন না এবং শহীদদের পবিত্র রক্তকে বিশ্বমোড়লদের সামনে আত্মসমর্পণ, দুর্বলতা ও চরিত্রহীনতার মাধ্যমে ব্যর্থ হতে দিচ্ছেন না।

তিনি ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর বাণী স্মরণ করে বলেন, ইমাম বারবার বলেছেন যে এই আন্দোলন সাইয়্যিদুশ শুহাদা (আ.)-এর আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত। তাই কম সম্পদ ও সৈন্য এবং শত্রুর আধিক্য দেখে ভীত হওয়া উচিত নয়। বরং অবিচলতা ও সংগ্রামের মাধ্যমে জুলুম ও ফাসাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে, তাহলেই বিজয় অর্জিত হবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha