হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) ইরশাদ করেন,
إنّ العَبدَ لَیکونُ بارّا بِوالِدَیهِ فی حیاتِهِما، ثُمّ یَموتانِ فلا یَقضی عَنهُما دُیونَهُما ولا یَستَغفِرُ لَهُما، فیَکتُبُهُ اللّهُ عاقّا. وإنّهُ لَیکونُ عاقّا لَهُما فی حیاتِهِما غَیرَ بارٍّ بهِما، فإذا ماتا قَضی دَینَهُما واستَغفَرَ لَهُما، فیَکتُبُهُ اللّهُ عزوجل بارّا
একজন ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচার দেখাতে পারে, কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর পর যদি সে তাঁদের ঋণ পরিশোধ না করে এবং তাঁদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করে, তবে আল্লাহ তাকে অকৃতজ্ঞ ও অবাধ্য সন্তান হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। আবার এমন ব্যক্তিও থাকতে পারে, যে জীবদ্দশায় পিতা-মাতার অবাধ্য ছিল, কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধ করে দেয় এবং তাঁদের জন্য ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে—তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে সদাচারী সন্তান হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।”
[উসুলে কাাফি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬৩]
শিক্ষা: এই হাদীস আমাদেরকে শেখায় যে, পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাঁদের হক আদায়ের মাধ্যমে আমাদের কর্তব্য শেষ হয় না। তাঁদের ঋণ পরিশোধ, আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং সদকায়ে জারিয়া ও দোয়ার মাধ্যমে আমরা আজীবন তাঁদের প্রতি সদাচার বজায় রাখতে পারি। বাস্তবিক অর্থে, এটি আমাদেরই জন্য পরকালে সওয়াবের দরজা খুলে দেয়।
আপনার কমেন্ট