মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫ - ১১:২৭
যে কাজের মধ্য দিয়ে পিতা-মাতার প্রতি সত্যিকারের সদাচার ফুটে ওঠে

ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) একটি গভীর তাৎপর্যময় হাদীসে আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন যে, পিতা-মাতার প্রতি সদাচার কেবল তাঁদের জীবদ্দশাতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তাঁদের ইন্তেকালের পরেও এই দায়িত্ব চলমান থাকে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) ইরশাদ করেন,
إنّ العَبدَ لَیکونُ بارّا بِوالِدَیهِ فی حیاتِهِما، ثُمّ یَموتانِ فلا یَقضی عَنهُما دُیونَهُما ولا یَستَغفِرُ لَهُما، فیَکتُبُهُ اللّه‏ُ عاقّا. وإنّهُ لَیکونُ عاقّا لَهُما فی حیاتِهِما غَیرَ بارٍّ بهِما، فإذا ماتا قَضی دَینَهُما واستَغفَرَ لَهُما، فیَکتُبُهُ اللّه‏ُ عزوجل بارّا
একজন ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচার দেখাতে পারে, কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর পর যদি সে তাঁদের ঋণ পরিশোধ না করে এবং তাঁদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করে, তবে আল্লাহ তাকে অকৃতজ্ঞ ও অবাধ্য সন্তান হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন। আবার এমন ব্যক্তিও থাকতে পারে, যে জীবদ্দশায় পিতা-মাতার অবাধ্য ছিল, কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধ করে দেয় এবং তাঁদের জন্য ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে—তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে সদাচারী সন্তান হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।”

[উসুলে কাাফি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬৩]

শিক্ষা: এই হাদীস আমাদেরকে শেখায় যে, পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাঁদের হক আদায়ের মাধ্যমে আমাদের কর্তব্য শেষ হয় না। তাঁদের ঋণ পরিশোধ, আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং সদকায়ে জারিয়া ও দোয়ার মাধ্যমে আমরা আজীবন তাঁদের প্রতি সদাচার বজায় রাখতে পারি। বাস্তবিক অর্থে, এটি আমাদেরই জন্য পরকালে সওয়াবের দরজা খুলে দেয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha