হাওজা নিউজ এজেন্সি: মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই বক্তব্য দেন আইআরজিসি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার শহীদ জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ ইজাদি, যিনি হাজ্ব রমজান নামে পরিচিত, তাঁর শাহাদাতের চল্লিশতম দিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
শেইখ নাইম কাসেম বলেন, “আজ আমরা হাজ্ব রমজান (জেনারেল ইজাদি)-এর শাহাদাতের চল্লিশতম দিন পালন করছি। তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ একজন ইরানি শহীদ ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ ইজাদি ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রতিরোধ সংগঠনের ঐক্য ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং হিজবুল্লাহ যেন তাদের কাছাকাছি থাকে তা নিশ্চিত করতেন।”
শেইখ কাসেম জানান, “তিনি ‘আল-আকসা ঝড় অভিযান’কে এক অলৌকিক ঘটনা বলে মনে করতেন। তাঁর হৃদয়ে ছিল ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসা, এবং তিনি ইমাম খামেনেয়ীর আদর্শে দৃঢ়ভাবে অনুপ্রাণিত ছিলেন।”
বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণ নিয়ে তিনি বলেন, “এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের দূত টম ব্যারাকের প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করে, কিন্তু লেবাননের নিরাপত্তার প্রয়োজন পূরণ করে না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রতিরোধ আন্দোলন কখনোই লেবানন সরকার ও ইসরায়েলের মধ্যকার অস্ত্রবিরতির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি।”
শেইখ কাসেম আরও অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে লেবানন সেনাবাহিনীকে এমন অস্ত্র পেতে বাধা দিচ্ছে, যা ইসরায়েলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
তিনি বলেন, “যদি হিজবুল্লাহ অস্ত্র ত্যাগ করে, তাহলে কে লেবাননকে রক্ষা করবে?” “ইসরায়েলি নেতারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, প্রতিরোধ শক্তি অস্ত্র ত্যাগ করলেও ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হবে না।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সম্পূর্ণ যুদ্ধের পথে গেলে ইসরায়েলেরই ক্ষতি হবে। কারণ প্রতিরোধ আন্দোলন, সেনাবাহিনী এবং লেবাননের জনগণ সম্মিলিতভাবে আত্মরক্ষা করবে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রসমূহ ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানবে এবং গত আট মাস ধরে তারা যে কৃত্রিম নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে, তা এক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে।”
শেষে তিনি পুনরায় বলেন, “আমরা যদি অস্ত্র ছেড়েও দিই, তবুও ইসরায়েলের আগ্রাসন থামবে না।”
আপনার কমেন্ট