হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মজিদুল ইসলাম শাহ বলেন, আরবাঈন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি মানবতার প্রতি ভালোবাসা, ন্যায়বিচার, ত্যাগ ও ঐক্যের মহামানবীয় বার্তা বহন করে। এই বার্তাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যম একটি অপরিহার্য সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে টেলিভিশন, রেডিও, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের কাছে দ্রুত বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।
আরবাঈনের বার্তা ছড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের করণীয়:
১. ডকুমেন্টারি ও প্রতিবেদন তৈরি – আরবাঈনের ইতিহাস, তাৎপর্য ও মানবিক দিক তুলে ধরা।
২. লাইভ কভারেজ ও প্রতিবেদন সম্প্রচার – অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা ও পথযাত্রার সরাসরি চিত্র প্রদর্শন।
৩. বহুভাষিক কনটেন্ট – ইংরেজি, আরবি, বাংলা, ফরাসি, স্প্যানিশসহ নানা ভাষায় তথ্য প্রকাশ করা।
৪. সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন – সংক্ষিপ্ত ভিডিও, ছবি, উক্তি ও হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড তৈরি করা।
৫. আন্তঃধর্মীয় সংলাপ প্রচার – সংবাদ, টকশো ও পডকাস্টে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষকে আলোচনায় যুক্ত করা।
৬. মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর – আরবাঈনের মূল বার্তা যেমন ন্যায়, সহমর্মিতা ও শান্তি, সেগুলিকে সার্বজনীন ভাষায় উপস্থাপন।
গণমাধ্যমের সচেতন, সৃজনশীল ও আন্তরিক ভূমিকা আরবাঈনকে শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থেকে উত্তীর্ণ করে একটি বৈশ্বিক মানবিক আন্দোলনে পরিণত করতে পারে। এর মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ ন্যায়বিচার, ঐক্য ও সহানুভূতির আলোতে উদ্বুদ্ধ হবে।
আপনার কমেন্ট