হাওজা নিউজ এজেন্সি: বিবৃতিতে বলা হয়, “শত্রুর পরিকল্পনা ফিলিস্তিনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, যা আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”
তারা আরও সতর্ক করে জানায়, “ফিলিস্তিনি মুক্তির সংগ্রাম উপেক্ষা করা হলে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জনগোষ্ঠী ও দেশও পড়বে—যদি না তারা গাজার দৃঢ় প্রতিরোধকে সমর্থন জানায়।”
বিবৃতিতে জানানো হয়, চারটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছয়টি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল—দখলকৃত হাইফা ও ইলাত বন্দর (যার মধ্যে ইলাত ইসরাইলের একমাত্র লোহিত সাগর বন্দর), দখলকৃত বীরশেবা শহর (যা দেশটির প্রযুক্তি খাতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত) এবং নেগেভ মরুভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা।
গত জুলাইয়েও ইয়েমেনি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলার কারণে ইসরাইলকে এলাত বন্দর বন্ধ করে দিতে হয়েছিল।
ইয়েমেনি বাহিনী দাবি করেছে, “অভিযানগুলো সফলভাবে তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে।” তারা আরও জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরাইল গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে এই হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং তা চলবে যতদিন ইসরাইল তার যুদ্ধ ও অবরোধ চালিয়ে যাবে।
গাজায় ইসরাইলি হামলা ও অবরোধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আপনার কমেন্ট