হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, নিজের ক্বলব ও আকল ইমামের হাতে সমর্পণ করে এবং তাঁর পবিত্র হারামের চারপাশে ঘোরাফেরা করে, সে যেন নিশ্চিত থাকে—ঐ প্রিয়তম ইমাম তার প্রতি দৃষ্টি রাখেন, তাকে হেদায়েত ও রহমত থেকে বঞ্চিত করেন না, বরং একজন সম্মানিত অতিথির মতো স্নেহ ও মর্যাদা প্রদান করেন।”
আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি তাঁর লিখনীতে আরও উল্লেখ করেন,
“জিয়ারতের পর জায়ের (তথা জিয়ারতকারীর) অন্তরে এমন এক আত্মিক রূপান্তর আসা উচিত, যা তার আচরণ, কাজকর্ম, এমনকি চিন্তা ও বিশ্বাস পর্যন্ত প্রভাবিত করে। সে যেন প্রিয় ইমামের পথের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায় এবং সব ধরনের অশুভ, গোনাহ ও অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকে। এটাই সেই প্রত্যাশিত পরিবর্তন, যা একজন সত্যিকারের জায়ের নিজের মধ্যে সৃষ্টি করবে।”
মূল বার্তা
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারত কেবল একটি আধ্যাত্মিক সফর নয়; এটি এমন এক প্রতিশ্রুতি, যা জায়েরের অন্তরে ইমামের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী জীবন গড়ার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে। হৃদয়ের পরিশুদ্ধি, নৈতিকতার উন্নয়ন ও গোনাহ থেকে দূরে থাকা—এগুলোই প্রকৃত জিয়ারতের সাফল্যের চিহ্ন।
সূত্র: আদাবুল জিয়ারাহ, আল-দুরুস, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪; কাওসারে আরবাঈন, পৃষ্ঠা ৮০
আপনার কমেন্ট