বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১১:১৩
বদঅভ্যাস ও খারাপ চরিত্রের মানুষদের জন্য সতর্কবার্তা

নৈতিকতা ইসলামের ভিত্তি ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির অন্যতম মূল চাবিকাঠি। একজন মুসলমানের ইবাদত, তওবা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্র অপরিহার্য শর্ত। এ বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সা.)-এর এক সতর্কতামূলক হাদিস আমাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বহন করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন,
أَبَی اللّهُ لِصاحِبِ الْخُلْقِ السَّیِّءِ بِالتَّوبَةِ. فَقِیلَ: یا رَسولَ اللّهِ، وَ کَیْفَ ذلِکَ؟ قالَ: لِأَنَّهُ إِذا تابَ مِنْ ذَنبٍ وَقَعَ فِی أَعْظَمَ مِنَ الذَّنبِ الَّذِی تابَ مِنْهُ
“(আল্লাহ) খারাপ চরিত্রের মানুষের তওবা আল্লাহ গ্রহণ করেন না।”

সাহাবারা বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলেন: “হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন হয়?”

নবী করিম (সা.) জবাব দিলেন, “কারণ, সে যখনই কোনো গোনাহ থেকে তওবা করে, তখন সে এমন আরেকটি গোনাহে পতিত হয়, যা পূর্বের গোনাহ থেকেও গুরুতর।”

[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৭৩, পৃষ্ঠা ২৯৯]

এই হাদিস থেকে স্পষ্ট হয় যে, কেবল বাহ্যিকভাবে তওবা করার চেয়ে মানুষের চরিত্র ও নৈতিকতা সংশোধনই প্রকৃত আত্মশুদ্ধির পথ। খারাপ স্বভাব ও নৈতিক দুর্বলতা যতদিন না পরিবর্তিত হবে, ততদিন তওবার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়।

তাই প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হলো, খারাপ আচার-আচরণ, রূঢ় ব্যবহার ও নেতিবাচক প্রবৃত্তি পরিহার করে উত্তম চরিত্র গড়ে তোলা, যাতে তওবা কবুল হয় এবং আখিরাতে মুক্তি লাভ করা যায়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha