হাওজা নিউজ এজেন্সি আল-জাজিরা ও আল-আরাবিয়া টেলিভিশনের প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহাতে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার পর মিসর এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, কায়রো বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা যোগাযোগ চ্যানেলগুলো পুনর্বিবেচনা করছে। এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো মিসরের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় রাখা।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, বহু বছরের নিরাপত্তা সমন্বয়ের পর মিসর স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে তারা আর ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করবে না এবং ভবিষ্যতে কোনো ব্যাখ্যা বা সমন্বয় ছাড়াই স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেবে।
মিসরীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার প্রকাশ করেছেন, তাদের দেশে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। তারা সতর্ক করেছেন, এ ধরনের যেকোনো অভিযান যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
মিডল ইস্ট আই ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এর আগে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময়ও মিসরের গোয়েন্দা সংস্থা অনুরূপ হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছিল। মিসরীয় সূত্রগুলো, যদিও হামাসের উপস্থিতি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি, জানিয়েছেন যে ইসরায়েল কায়রোতে হামাস নেতাদের টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দোহায় ব্যর্থ হামলার পর ঘোষণা দিয়েছেন, “হামাস নেতারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।” তিনি প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে দোহা ও অন্যান্য আতিথ্যশীল দেশগুলোকে বলেছেন, “তারা বা তো নেতাদের বহিষ্কার করবে, বা বিচারিক হাতে তুলে দেবে, নতুবা ইসরায়েল নিজেই ব্যবস্থা নেবে।”
গত মঙ্গলবার ইসরায়েল কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দোহায় হামাস শীর্ষ নেতাদের বৈঠক এবং আলোচনাকারী দলের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। এই হামলার পর বিশ্বের বহু দেশ বিবৃতি দিয়ে ইসরায়েলের এ পদক্ষেপকে কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
আপনার কমেন্ট