বুধবার ২২ অক্টোবর ২০২৫ - ২০:১৫
ইরানে হামলায় ইসরায়েলকে ৫০টিরও বেশি গোয়েন্দা সংস্থা সহায়তা করেছে: ইরানের গোয়েন্দামন্ত্রী

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী হুজ্জাতুল ইসলাম ইসমাইল খাতিব জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুনে ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত হামলায় ইসরায়েলকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে পঞ্চাশেরও বেশি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: শাহরেকোর্দে বুধবার এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “ইরানি জনগণের ঐক্য, পরস্পরীয় সমর্থন ও সংহতি এবং আমাদের সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তির কারণে ইরান জুনের ওই আগ্রাসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তথাকথিত ‘ইন্টেলিজেন্স ন্যাটো’—অর্থাৎ ৫০টিরও অধিক গোয়েন্দা সংস্থা—তারা তাদের সকল সক্ষমতা ও সম্পদ মোতায়েন করে আমাদের বিরুদ্ধে নীরব ও সফট (কোমল) যুদ্ধ আরোপ করার চেষ্টা করেছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “১২ দিনব্যাপী সংঘর্ষের সময় শত্রুর পরিকল্পনা ছিল ইরানের শাসনব্যবস্থা অধিষ্ঠাপন দুর্বল করা এবং দেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টি করা। তারা একটি সর্বাত্মক ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পশ্চিমা সভ্যতার সংগৃহীত আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা ব্যবহার করে সামরিক হামলাও আঞ্জাম দেয়।”

গোয়েন্দামন্ত্রী খাতিব বলেন, শত্রুপক্ষ ইরানের ভেতরে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল এবং সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসী ও তাকফিরি উপাদান প্রবেশ করিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলার পরিকল্পনাও ছিল।

তিনি পাশাপাশি স্মরণ করান যে, ১৩ জুন ইসরায়েল ঘোষণা ছাড়াই ইরানের ওপর আগ্রাসী হামলা চালায়; টানা ১২ দিন জুড়ে সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে তারা আক্রমণের লক্ষ্য করে। পরে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইসফাহান—এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করে সংঘাতকে তীব্র করে তোলে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তখন তৎক্ষণাৎ শক্তিশালী প্রতিশোধ ও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) মহাকাশ বিভাগ ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’ অভিযান অনুযায়ী বেশ কয়েক দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তু ও শহরগুলোর ওপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও লোকহানির কারণ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রেক্ষিতে ইরানি বাহিনী পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্রগত আঘাত করে বলে খাতিব উল্লেখ করেন।

সংঘাতটি ২৪ জুন এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha