মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর ২০২৫ - ১৯:০১
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি: “তোমরা  ইস্তেগফার করো, আমি বর্ষণ করব”

আয়াতুল্লাহ নাসরুল্লাহ শাহ-আবাদী বলেন, যদি মানুষ পরিষ্কার হৃদয় ও খাঁটি নিয়ত নিয়ে কয়েক দিন পরপর সবাই মিলে ইস্তেগফারের নামাজ আদায় করে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূর্ণ হবে। এই তওবার নামাজ ও রহমতের একটি বিশেষ যোগসূত্র; প্রতিটি যিকর আল্লাহর রহমতের দরজায় কড়া নাড়ে। ইস্তেগফার আসলে বরকত ও বৃষ্টির অবতরণের অন্যতম চাবি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَقُلتُ استَغفِروا رَبَّکُم إِنَّهُ کانَ غَفّارًا * یُرسِلِ السَّماءَ عَلَیکُم مِدرارًا
“তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো, তিনি তো অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর আসমান থেকে প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।”
[সূরা নূহ ১০–১১]

আরও বলেন:
وَأَنِ استَغفِروا رَبَّکُم ثُمَّ تُوبوا إِلَیهِ یُمَتِّعکُم مَتاعًا حَسَنًا
“তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো এবং তাঁর দিকে ফিরে এসো, তিনি তোমাদের উত্তম রিজিক দেবেন।” [সূরা হুদ ৩]

আয়াতুল্লাহ নাসরুল্লাহ শাহ-আবাদী— (মরহুম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মদ আলী শাহ-আবাদীর সন্তান, যিনি ইমাম খোমেনির এরফানের শিক্ষক) সন্তান ও তেহরান প্রদেশের প্রতিনিধি (পঞ্চম মজলিসে খোবরেগান)—বলেন, “এক দিন, দুই দিন সবাই একসঙ্গে এই ইস্তেগফারের নামাজ পড়লেই যথেষ্ট। নিশ্চিতভাবে বৃষ্টি আসবে। আমি নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।”

ইস্তেগফারের নামাজের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি
এই নামাজ দুই রাকাত। প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট পরিমাণ যিকর পড়া হয়।

প্রথম রাকাত

১. সূরা قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ শেষ করে ১৫ বার বলুন:

 «أستغفرُ اللهَ رَبّي وأتوبُ إليه»

২. রুকুতে— ১০ বার

৩. রুকু থেকে উঠার পর— ১০ বার

৪. প্রথম সিজদায়— ১০ বার

৫. প্রথম সিজদার পর— ১০ বার

৬. দ্বিতীয় সিজদায়— ১০ বার

৭. দ্বিতীয় সিজদার পর—১০ বার

মোট ৭৫ বার হয়:
«أستغفرُ اللهَ رَبّي وأتوبُ إليه»

দ্বিতীয় রাকাত
প্রথম রাকাতের মতোই, তবে সূরা বদলাতে হবে।

যদি প্রথম রাকাতে পড়েন قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ, দ্বিতীয় রাকাতে পড়বেন إِنّا أَنزَلناهُ فی لَیلَةِ القَدر

আর যদি প্রথম রাকাতে পড়েন إِنّا أَنزَلناهُ, দ্বিতীয় রাকাতে পড়বেন قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ

এরপর একইভাবে: সূরা শেষে ১৫ বার, রুকুতে ১০ বার, রুকুর পর ১০ বার, প্রথম সিজদায় ১০ বার, প্রথম সিজদার পর ১০ বার, দ্বিতীয় সিজদায় ১০ বার, দ্বিতীয় সিজদার পর ১০ বার!

শেষে তাশাহ্‌হুদ ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করবেন এবং কোনো কথাবার্তা বলবেন না।

নামাজ শেষে আমল

১. তাসবিহে ফাতিমা (সা.আ.) পড়বেন

২. তারপর সিজদায় গিয়ে দোয়া করবেন: “হে আল্লাহ, বৃষ্টি নাজিল করো, তোমার রহমত বর্ষণ করো।”

আয়াতুল্লাহ শাহ-আবাদী বলেন, “আমি নিশ্চিত করে বলছি, সিজদা থেকে মাথা ওঠার আগেই বৃষ্টি শুরু হবে। এটি আল্লাহর শতভাগ নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha