হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনি লেখিকা উম্মে সাদিক আল-শরীফ বলেন, ইয়েমেনি মায়েরা পিতা, স্বামী, ভাই ও সন্তান-শহীদদের গর্বে বরণ করেন। এটা মহিমার চূড়ান্ত প্রকাশ—শত্রুর মুখে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তারা শহীদের রক্তকে সম্মান জানান।
তিনি যোগ করেন, "শত্রুরা দেখেছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত ইয়েমেন আজ তাদের ঘরের ভিতরেই আঘাত হানছে। সামাদ ও জুলফিকার ড্রোন-মিসাইল দিয়ে আরব সিয়োনিবাদীদের রাজধানী লক্ষ্য করা থেকে শুরু করে বাব-আল-মান্দেব প্রণালী অবরোধ, ইসরায়েলি জাহাজে হামলা, ইয়াফার দখলদার এলাকায় ফিলিস্তিনি রকেট নিক্ষেপ, লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী অগ্নিদগ্ধ—সবই আল্লাহর মদদে সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় বিজয় আসবে।"
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ্র উদ্দেশে অঙ্গীকার:
আল-শরীফ বলেন, হে উম্মাহর শহীদ নেতা! ইসলাম ও মানবতার জন্য আপনার রক্ত ঝরেছে। আমরা বিজয় বা শাহাদাত পর্যন্ত আপনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। গাজা, আল-আকসা, ফিলিস্তিন ও লেবাননের পাশে ইয়েমেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
মানবতার যোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইরতিফা আল-কাবাতি
তাকে "তাআযযের দানব" ডাকা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠনে নেমেছেন। পরিবেশ সচেতনতা কেন্দ্রের পরিচালক ও নরওয়ের জাস্টিস অ্যান্ড পিস অর্গানাইজেশনের শুভেচ্ছাদূত এই নারী যুদ্ধবন্দী মুক্তি, অপহৃতদের ফিরিয়ে আনা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংস্থাদের সাথে কাজ করেন।
জাতিসংঘের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "মাইন অপসারণকালে এক সহকারী বিস্ফোরণে নিহত হয়। তাআযয বিশ্ববিদ্যালয়ে পুঁতে রাখা মাইন সরিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে এনেছি।" পাঁচ সন্তানের এই মা বলেন, আমি পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করি। নারী শিক্ষা ও স্বনির্ভরতা কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। হামলা ও গুলিবর্ষণ সত্ত্বেও আমি পিছপা হইনি।
মোনা লুকমান: ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেত্রী
"মানবতার জন্য খাদ্য" ফাউন্ডেশন ও ইয়েমেনের বৃহত্তম নারী নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা মোনা লুকমান সতর্ক করেন, "৪০ লাখের বেশি পরিবার খোলা আকাশে বসবাস করছে। জরুরি সাহায্য না এলে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য।"
মিডিয়ার অগোচরে ইয়েমেনি নারীদের অদম্যতা
অস্ত্র চালনা থেকে অর্থনৈতিক সংকটে সন্তান লালন—সবক্ষেত্রেই পারদর্শী ইয়েমেনি নারীরা। পশ্চিমা মিডিয়া তাদের 'অশিক্ষিত' দেখালেও বিশ্বাস করুন, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নারীরা এই ইয়েমেনেই বাস করেন। হিজাব ও নেকাব তাদের সংগ্রামে বাধা নয়, বরং প্রতিরোধের প্রতীক।
আপনার কমেন্ট