হাওজা নিউজ এজেন্সি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স হেইদারি দাবি করেন, এসব অস্ত্র সম্পূর্ণ সক্রিয় ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
জেনারেল হেইদারির প্রধান দাবিসমূহ:
১. এআই-চালিত অস্ত্রের গোপন মজুদ: হেইদারির মতে, ইরানের স্থলবাহিনীর কাছে এমন অস্ত্র আছে যা “গতিশীল, আধুনিক ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল”—বিশেষ করে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ ও নিখুঁত নিক্ষেপের সক্ষমতা সম্পন্ন।
২. সীমান্ত নিরাপত্তায় উচ্চপ্রযুক্তি: ইরানের ১০টি সীমান্ত ডিভিশনে গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যদিও হেইদারি স্বীকার করেন যে সব হুমকি দূর হয়নি।
৩. সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া: গত বছরের শেষ তিন মাসে পূর্ব, পশ্চিম ও উপকূলীয় অঞ্চলে তিনটি বড় সামরিক মহড়া পরিচালিত হয়েছে, যা আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের সাথে সংগতিপূর্ণ।
৪. সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি: সাইবার হামলা মোকাবিলায় বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি সক্ষমতায় সজ্জিত ।
প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি ও পটভূমি:
- ইরান সম্প্রতি এআই-চালিত নৌ-ক্ষেপণাস্ত্র “আবু মাহদী” উন্মোচন করেছে, যা ১,০০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্য ধ্বংস করতে সক্ষম এবং শত্রুর রাডার ফাঁকি দিতে পারে।
- ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইরান হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে, যা শব্দের গতির ১২ গুণ বেগে চলতে পারে।
- মার্চ ২০২৫-এ ইরান একটি জাতীয় এআই প্ল্যাটফর্ম (সংস্করণ ৩.০) চালু করে, যা সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ও কাজ করতে পারে।
আঞ্চলিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া:
হেইদারির এই দাবি ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ, যারা ইরানের এআই ও সাইবার কৌশল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানকে “আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্তম্ভ’ বলে অভিহিত করে সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন।
ইরানের স্থলবাহিনী প্রধানের এই ঘোষণা দেশটির সামরিক প্রযুক্তিতে অগ্রগতিরই ইঙ্গিত দেয়। তবে, এসব অস্ত্রের কার্যকারিতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় এর প্রভাব নিয়ে পশ্চিমা মহলে কৌতুহল ও সংশয় রয়ে গেছে।
আপনার কমেন্ট