হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, “সিরাতে মুস্তাকিম”—একটি পথ, যা শুধু চলার দিশা নয়, বরং আত্মার মুক্তিরও দিগন্ত।
এই পথ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত সেই সোজা রাস্তা, যা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয়, বিভ্রান্তি থেকে হেদায়েতে এবং মায়ার মোহ থেকে চিরসত্যের দিকে নিয়ে যায়।
আদিল হোসেন, একজন আইনজীবী ও চিন্তাশীল লেখক, তার কবিতায় অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে তুলে ধরেছেন এই সিরাতে মুস্তাকিমের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও তাৎপর্য।
আল্লাহর রহমত, নামাজ, রোজা, জাকাত এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নাহ—সবকিছুর মেলবন্ধনে নির্মিত এই সোজা পথের আহ্বান হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
আজকের অস্থির ও মোহভঙ্গ পৃথিবীতে, যেখানে মানুষ দিন দিন মূল থেকে সরে যাচ্ছে, সেখানে এই কবিতা আমাদের আত্মা ও চিন্তার জন্য এক শ্রদ্ধাভাজন স্মরণিকা।
এটি কেবল একটি কবিতা নয়—এটি এক আহ্বান, এক আত্মদর্শন, এক প্রার্থনা।
সিরাতে মুস্তাকিম
সিরাতে মুস্তাকিম সদায় আছে শরণে,
পাপের অন্ধকারে হইতে নূরের পরিসীম।
মায়ার জগৎ হইতে নূরের দিশারী,
আল্লাহর রহমতে চলি, তিনি একমাত্র পাহাড়ি।
কুরআনের আয়াতে পাই সত্যের সন্ধান,
নবীর সুন্নাহ পথে চলে, মেলে প্রশান্তি প্রাণ।
শয়তানের ফাঁদে পড়ে, হৃদয় যায় ভুলে,
তোমার নাম জপে, পাই সিরাতের কূলে।
নামাজে মন বাঁধি, জাকাতে দেই হৃদয়,
রোজার ধৈর্যে পাই, তোমার রহমত নিশ্চয়।
দুনিয়ার মোহে হারায়, মানুষের এই মন,
সিরাতে মুস্তাকিমে চলি, তোমারই কৃপায় জন।
ও আল্লাহ, রাখো আমায়, তোমার পথের দাস,
সিরাতে মুস্তাকিমে চলি, যেন নাহি হয় নিঃশ্বাস।
মায়ার পিছনে ছুটে, হৃদয় যায় ভেঙে,
তোমার নূরের পথে, আমি চিরদিন রাঙে।
-আদিল হোসেন (আইনজীবী)
আপনার কমেন্ট