শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫ - ১২:৩৯
গায়েবাতের কালে দ্বীন রক্ষা— সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষা

ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর দীর্ঘ গায়েবাতের যুগে ঈমান ও দ্বীন রক্ষা করা সাধারণ কোনো কাজ নয়। এটি এমন এক কঠিন পরীক্ষা, যা কেবল ধৈর্যশীল ও সত্যনিষ্ঠ মু’মিনদের পক্ষেই উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন,
إِنَّ لِصَاحِبِ هَذَا الْأَمْرِ غَيْبَةً، الْمُتَمَسِّكُ فِيهَا بِدِينِهِ كَالْخَارِطِ لِلْقَتَادِ
নিশ্চয়ই এই কিয়ামের মালিকের [অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর] একটি গায়েবাত আছে। এই গায়েবাতের সময় যে ব্যক্তি তার দ্বীনের ওপর অটুট থাকবে, সে যেন কাঁটাযুক্ত ‘কাতাদ’ গাছ খালি হাতে কেটে চলেছে।

[আল-কাফি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৩৫]

হাদীসটি এই বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তোলে যে, গায়েবাতের যুগে সত্যপথে অবিচল থাকা যেন কাঁটায় ঘেরা পথে রক্তাক্ত পায়ে চলার মতো কষ্টসাধ্য। বাইরের চাপে নয়, বরং চিন্তা, সংশয়, বিভ্রান্তি, সমাজের বিরূপ ধারা ও নানান পরীক্ষার ভেতরেও একজন মু’মিনকে দ্বীনের ওপর অটল থাকতে হয়। এ সময়েই প্রকৃত ঈমানদার ও নামধারী মুসলিমের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এ যুগে দ্বীনদারি মানে শুধু নামাজ-রোজা নয়; বরং ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর প্রতিনিধিত্বে গড়ে ওঠা ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন বুকে ধারণ করে জীবন পরিচালনা করা। তাই, গায়েবতের সময় দ্বীন রক্ষা করা মানে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন কিন্তু সম্মানিত দায়িত্ব পালন করা।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha