হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কারবালার করুণ যুদ্ধ শেষ। ধুলোমাখা প্রান্তরে রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস রেখে, শহিদ হয় হজরত ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার। সেই শহিদদের স্বজনদের বন্দি করে আনা হয় শামে — বিজয়ের পতাকা ওড়ানোর মতো করে।
জনতার ভিড়ে এক তরুণ — তালহার পুত্র — এগিয়ে আসে বন্দি কাফেলার দিকে। কৌতূহল, বিস্ময় ও একপ্রকার সংশয় নিয়ে সে ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর সামনে দাঁড়ায়।
তার প্রশ্ন ছিল জ্বলন্ত তীরের মতো:
“কে জয়ী হলো আজ?
কে বিজয়ী, হে রাসূলুল্লাহর পুত্র?
তুমি তো বলেছিলে তোমরা হকের পক্ষে।
তাহলে তো তোমরাই বন্দি, পরাজিত!”
প্রতিটি শব্দ যেন আঘাত হানে কারবালার ক্ষত-বিক্ষত সত্যে।
কিন্তু ইমাম সাজ্জাদ (আ.) ছিলেন অবিচল। তাঁর কণ্ঠে ছিল ধৈর্য, চেতনায় ছিল চিরন্তন সত্যের দীপ্তি।
তিনি শান্ত স্বরে জবাব দেন:
“আবদুল্লাহ, তুমি যদি জানতে চাও কে বিজয়ী,
তাহলে আজান দাও, ইকামত দাও —
দেখবে বিজয়ী কে।
আজ কি তোমাদের নেতাদের নাম উচ্চারিত হয় আজানে?
না কি আমাদের দাদা, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নামই ধ্বনিত হয় প্রতিটি নামাজে, প্রতিটি মিনারে?”
এই প্রশ্ন আর জবাব ছিল কেবল একটি মুহূর্ত নয় — ছিল ইতিহাসের পাতায় অমোচনীয় সত্যের মুদ্রাঙ্কন। কারবালায় তলোয়ার হয়তো একপক্ষের ছিল, কিন্তু আদর্শ ও সত্যের বিজয় যে কার, তা সময় প্রমাণ করে চলেছে প্রতিটি আজানের ধ্বনিতে।
আজও বিশ্বের প্রতিটি কোণায় যখন উচ্চারিত হয় —
"আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ" —
তখন যেন সেই প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে যায় আকাশে-বাতাসে:
বিজয়ী কেবল সেই, যিনি চিরস্মরণীয়।
আপনার কমেন্ট