বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫ - ১৬:২৮
ইসতিখারার ফলাফল বিরুদ্ধ আমল কী হারাম?

আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ আলী হুসেইনি সিস্তানি (দা.মা.) ইসতিখারার ফলের বিরোধিতা এবং এর পরবর্তী অনুশোচনা থেকে বাঁচার উপায় বিষয়ে একটি ফিকহি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসতিখারা ইসলামি জীবনধারায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি এমন এক উপায়, যার মাধ্যমে মানুষ অনিশ্চয়তা ও সংশয়ের মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করে। যদিও ইসতিখারা নানা পদ্ধতিতে প্রচলিত, তবে এর শরয়ি ভিত্তি, নিয়মকানুন ও সীমারেখা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে— যার জন্য প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য ফিকহি ব্যাখ্যার।

এই প্রেক্ষাপটে, আয়াতুল্লাহ সিস্তানি এক গুরুত্বপূর্ণ ইসতিফতা বা ধর্মীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

প্রশ্ন:

১. বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে যেভাবে ইসতিখারা করা হয়, তা কি শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয়?

২. একবার ইসতিখারা করলেই কি যথেষ্ট, নাকি তা পুনরায় করা জরুরি?

৩. ইসতিখারার ফলাফলের বিরুদ্ধাচরণ কি হারাম?

উত্তর: ইসতিখারা তখনই শরিয়তসম্মত, যখন কেউ পরামর্শযোগ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারেন এবং সংশয়ে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে ইসতিখারা করা জায়েয ও প্রশংসনীয়।

ইসতিখারার বিপরীতে কাজ করা হারাম নয়, তবে তা পরবর্তীতে অনুশোচনার কারণ হতে পারে।
তবে কেউ যদি ইসতিখারার আগেই কিছু সদকা প্রদান করে বা অন্য কোনো আমলের মাধ্যমে বিপদ-আপদ দূর করার চেষ্টা করে, তাহলে তা ইসতিখারার বিষয়ের পরিবর্তন আনতে পারে এবং ফলাফলও ভিন্ন হতে পারে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha