হাওজা নিউজ এজেন্সি: ২০১৭ সালে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী মসজিদটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়, যখন তারা ইরাকি সেনাবাহিনীর হাতে মসুলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছিল।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বলেন, এ মসজিদের পুনর্নির্মাণ “একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা ইরাকিদের বীরত্ব, তাদের ভূমির প্রতি রক্ষাকবচ, এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে সবকিছু পুনর্গঠনের দৃঢ় সংকল্পের স্মারক হয়ে থাকবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএস এই মসজিদ থেকেই তাদের কথিত খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিল।
মসুল মুক্ত হওয়ার পর জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো ইরাকি ঐতিহ্য ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের প্রথম ধাপ শুরু হয় ২০১৮ সালের শরতে—তখন এলাকা মাইনমুক্ত করা হয় এবং বিপজ্জনক বস্তু সরানো হয়।
একটি আন্তর্জাতিক নকশা প্রতিযোগিতায় একটি মিশরীয় দল বিজয়ী হয় এবং ২০২২ সালের মে মাসে তারা ইরাকিদের সামনে তাদের নকশা উপস্থাপন করে। তার আগে এক জরিপে দেখা যায়, মসুলের ৭০ শতাংশ স্থানীয় বাসিন্দা আল-নুরি মসজিদের প্রার্থনাগৃহের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো পুনর্নির্মাণ করতে চায়, তবে কিছু উন্নয়নও যোগ করার পক্ষে।
প্রস্তুতিমূলক কাজে মসজিদের মেঝের নিচে ১২শ শতাব্দীর চারটি কক্ষ আবিষ্কৃত হয়, যেগুলো সম্ভবত ওজুখানার জন্য ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে সেগুলো পুনর্নির্মিত নকশার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মসুলের যুদ্ধবিধ্বস্ত গির্জাগুলোও পুনর্গঠন করা হয়েছে, যাতে শহরের ক্রমশ কমে যাওয়া খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য সংরক্ষিত থাকে।
আপনার কমেন্ট