হাওজা নিউজ এজেন্সি: জুমার প্রথম খুতবায় ইমাম গাফুরী মু’মিনদের তাকওয়া অবলম্বনের আহ্বান জানান এবং পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইসলাম চায় পারিবারিক জীবনের ভিত্তি হোক ঈমান, তাওহিদ ও নৈতিকতার ওপর। সুস্থ পরিবার গড়ে তুলতে বৈধ বিবাহের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন এবং সন্তানদের সঠিক লালনপালন অপরিহার্য।
ইমাম গাফুরী হযরত ইমাম সাদিক (আ.)–এর বাণী উদ্ধৃত করে একজন আদর্শ পিতার তিনটি গুণ বর্ণনা করেন:
১. সুন্দর আচরণ: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সদয় মেলামেশা।
২. মিতব্যয়িতা: নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী জীবন পরিচালনা এবং অপচয় এড়িয়ে চলা।
৩. সম্মাননির্ভর গায়রাত: ইসলামী মূল্যবোধ অনুযায়ী পরিবারের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজকের সমাজে বেহিজাবির প্রবণতা ক্রমশ প্রকাশ্য রূপ নিচ্ছে, যা কেবল নৈতিক অবক্ষয় নয়, বরং আল্লাহর বিধানের প্রকাশ্য অবমাননা। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের উচিত গায়রত ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে নারী পরিবারের সদস্যদের হিফাজত করা এবং সমাজে লজ্জা ও পবিত্রতার পরিবেশ রক্ষা করা।
দ্বিতীয় খুতবায় ইমাম গাফুরী সূরা নাহল ১২৮ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকওয়া ও আল্লাহভীতি ধারণের আহ্বান জানান। তিনি পুনরায় বলেন, “প্রকাশ্যে বেহিজাবি হওয়া মানে আল্লাহ তাআলার বিধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পতাকা তোলা। এই বিধানের প্রতিষ্ঠাতা আল্লাহ নিজে এবং এর উৎস কোরআনুল কারিম।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যারা আহলে বাইত (আ.)–এর প্রতি ভালোবাসার দাবি করে, অথচ আল্লাহর স্পষ্ট বিধানগুলো প্রকাশ্যে অমান্য করে, তাদের এই আচরণ প্রকৃতপক্ষে শয়তানের প্ররোচনা ও আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়।
ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু গণহত্যা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত দুই বছরে জায়নবাদী ইসরায়েল গাজা ও পশ্চিম তীরে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটন করেছে, যা সরাসরি মার্কিন সমর্থনে সংঘটিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের বিজয় তাদের অবিচলতা ও ত্যাগের ফল। শত্রুরা জানুক, ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্ট কখনোই নতি স্বীকার করবে না।
খুতবার শেষাংশে ইমামে জুমা গাফুরী ইসলামী বিপ্লব ও প্রতিরক্ষা যুদ্ধে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ইরানের জনগণ অটল সংকল্পে অগ্রগতির পথে অবিচল থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ, হযরত বাকিয়াতুল্লাহ (আ.ফা.)–এর মহান আগমনের জন্য ভূমিকা তৈরি করবে।”
আপনার কমেন্ট