শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫ - ২২:০৪
যদি আল্লাহ চান, তিনি তোমাকে জাগিয়ে দেবেন!

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সর্বোত্তম সময় হলো রাতের নীরবতা। যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে, তখন যে বান্দা আল্লাহর স্মরণে জেগে দাঁড়ায়, সে তাঁর প্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি ঘুম বাধা হয়ে দাঁড়ায়? আয়াতুল্লাহ বাহজত (রহ.) বলেন— যদি নিয়ত সত্য হয়, আল্লাহ নিজেই তোমাকে জাগিয়ে দেবেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: মানুষের হৃদয়ে কখনও কখনও আল্লাহর স্মরণে রাতের নামাজ পড়ার ইচ্ছা জাগে। কিন্তু অধিকাংশ সময় আমরা ঘুম থেকে উঠতে পারি না। এই বিষয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষক আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকি বাহজাত (রহ.) একটি গভীর সত্য প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন— “এই বিষয়টি নিশ্চিত ও পরীক্ষিত। অনেকেই বলেছেন, যদি কারো অন্তর থেকে দৃঢ় উপলব্ধি হয় যে সে নামাজে শাব পড়তে চায়, আল্লাহ তাঁকে কোনো না কোনোভাবে জাগিয়ে দেন— কখনো দরজায় টোকা পড়ে, কখনো কোনো অজানা শব্দ বা কণ্ঠে নিজের নাম শোনা যায় (যা সে ছাড়া আর কেউ শোনে না), আবার কখনো হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়।”

সূত্র: দা’র মাহজারে বাহজাত, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৮৮ — আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকি বাহজাত (রহ.)

নিয়তের শক্তি
আয়াতুল্লাহ বাহজাত  (রহ.) বোঝাতে চেয়েছেন— আল্লাহর পথে প্রথম পদক্ষেপ হলো নিয়ত (অভিপ্রায়)। যদি বান্দা আন্তরিকভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়, তাহলে আল্লাহ তাঁর জন্য এমন ব্যবস্থা করেন যা মানুষের কল্পনার বাইরে।

কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন: «فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ» “তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫২)

অতএব, যদি কেউ আল্লাহর স্মরণে জেগে ওঠার নিয়ত করে, আল্লাহ নিজেই তাকে সেই সুযোগ দেন।

অর্থাৎ,  যদি মন থেকে দৃঢ় ইচ্ছা থাকে, তাহলে ঘুম বাধা হতে পারে না— কারণ তখন জাগানোর দায়িত্ব নেয় স্বয়ং আল্লাহ।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha